হাজার বছর ধরে জ্ঞান সংরক্ষণ, বিতরন, সম্প্রসারন সহ সমাজ তথা জাতিকে আলোকিত করতে গ্রন্থাগার অসামান্য অবদান রেখে আসছে। ১৯৫০ সালে গণগ্রন্থাগার আইন পাশের মাধ্যমে অবিভক্ত ভারতবর্ষে গণশিক্ষার ব্যাপক প্রসার লাভ করে । ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঐ দিনটিকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণগ্রন্থাগার আন্দোলন আরো বেগবান হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন-‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে’। সোনার মানুষ হতে হলে আমাদের সবাইকে বই পড়তে হবে। আর বই পড়ার উৎকৃষ্ট জায়গা হচ্ছে গ্রন্থাগার। গ্রামে গ্রামে গ্রন্থাগার গড়ে ওঠার মধ্য দিয়ে একদিন বাংলাদেশ জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হবে। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে ‘শ্রীকৃষ্ণপদ দাশ গণগ্রন্থাগার’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রত্নদীপ দাস রাজু উপরোক্ত কথা বলেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সত্যজিত দাশের সভাপতিত্বে ও ‘শ্রীকৃষ্ণপদ দাশ গণগ্রন্থাগার’ পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জন কান্তি দাশের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিবিয়ানা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানু মণি সরকার, বিশিষ্ট মুরুব্বি জগন্নাথ দাশ, সাবেক মেম্বার মাখন লাল দাশ, মেম্বার মানিক লাল দাশ, জওহরলাল বৈষ্ণব, অনিরুদ্ধ দাশ, প্রণব রায়, অমর দাশগুপ্ত, শিক্ষিকা সাথী রানী দাশ, পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উজ্জ্বল কান্তি দাশ, গকুল দাশ, গোপেন্দ্র দাশ, অপু দাশ, ফাহিমা আক্তার, পলাশ দাশ, অর্ঘ্য দেবনাথ প্রমুখ। বন্ধু মহল সামাজিক সংগঠন উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখেন।ড়
Leave a Reply