জাবিতে সামাজিক সংগঠন ইচ্ছা’র উদ্যোগে গ্রন্থাগার উদ্বোধন
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠন ইচ্ছা’র উদ্যোগে গতকাল (২০শে জানুয়ারী, ২০২১ইং) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ২য় তলায় শহিদ আজাদ-রুমী গ্রন্থাগারের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বিভিন্ন লেখকের সুপরিচিত ৫১ টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে শহিদ আজাদ-রুমী গ্রন্থাগার।
শহিদ আজাদ-রুমী গ্রন্থাগারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাগারের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, টিএসসির পরিচালক ও ইচ্ছা’র উপদেষ্টা পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও লেখক জনাব আহমেদ ফরিদ, গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা নুরুজ্জামান শুভ ও ইচ্ছার সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সাগর।
এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক সংগঠন ইচ্ছার সদস্য মির্জা সোহাগ, জাকিয়া সুলতানা পিংকি, মোঃ ইমন ইসলাম, শাহ আলম, ধ্রুব, শাহজালাল আহমেদ আকাশ, সুমাইয়া, জুঁই, আশিক সহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এই সময় গ্রন্থাগারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাবির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ বলেন “ইচ্ছা’র এই নতুন গ্রন্থাগারের আয়োজন অনেক দূরে এগিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করি। গ্রন্থাগারকে প্রধান্য দিয়ে এটির বিকাশের সুবিধার্থে টিএসসিতে একটি রুম দেওয়ার জন্য টিএসসির পরিচালককে অনুরোধ জানাচ্ছি। আজকের ছোট্ট লাইব্রেরী ভবিষ্যতে বড় লাইব্রেরীতে রূপান্তরিত হবে সেই প্রত্যাশা রইলো।”
টিএসসির পরিচালক ও ইচ্ছা’র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, “টিএসসিতে রুম সংকট রয়েছে, তবুও ইচ্ছা’র গ্রন্থাগার যেহেতু টিএসসির কম্পাউন্ডে যুক্ত হয়েছে, আমরা অন্যান্যদের সাথে সমন্বয় করে একটি রুমের ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। ইচ্ছা’র সুন্দর সুন্দর কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক এবং এই গ্রন্থাগার আরো প্রসারিত হোক সেই কামনা করি।”
বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও লেখক জনাব আহমেদ ফরিদ বলেন, “বই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। বই আমাদের জ্ঞানের পিপাসা মেটায়। বর্তমান প্রজন্ম ফেসবুকের মধ্যে আবদ্ধ। এই রকম একটি কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গ্রন্থাগারের উদ্যোগ আমাদেরকে আশাবাদী করেছে।”
গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও ইচ্ছা’র মডারেটর নুরুজ্জামান শুভ বলেন, “একাডেমিকের বাইরে আমাদের অনেকের বই পড়ার ইচ্ছা জাগে। কিন্তু সকলের পক্ষে বই ক্রয় করে অনেক বই পড়া সম্ভব হয় না।শিক্ষার্থীরা যেনো বেশি বেশি বই পড়ার সুযোগ লাভ করতে পারে সেজন্য আমাদের এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে আমরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ব্যাপকভাবে সাড়া লাভ করেছি।”
ইচ্ছা’র সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সাগর বলেন, “২০১৮ সাল থেকে ইচ্ছা মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে।এবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করলাম। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা বেশি বেশি বই পড়ার সুযোগ পাবেন। যারা আমাদেরকে বই উপহার দিচ্ছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, গ্রন্থাগারের সদস্য হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বুধবার এই গ্রন্থাগার থেকে বই সংগ্রহ করে নিজ নিজ হলে নিয়ে গিয়ে পড়তে পারবেন।
Leave a Reply