পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : আজ মরমী গীতিকবি, বাউল সাধক, দুর্বিন শাহের ৪৫তম মৃত্যু বার্ষিকী। দুর্বিন শাহ্ ১৯২০ সালের ২ নভেম্বর বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ মহকুমার ছাতকের সুরমা নদীর উত্তর পারে নোয়ারাই গ্রামের তারামনি টিলায় জন্মগ্রহণ করেন। এই তারামনি টিলা কালান্তরে দুরবীন টিলা নামে পরিচিত হয়। তাঁর পিতা সফাত আলি শাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক এবং মা হাসিনা বানু ছিলেন একজন পিরানী।ফলে সঙ্গীতচর্চার একটা পারিবারিক ঐতিহ্যেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। মাত্র সাত বছর বয়সে বাবাকে হারান। ১৯৪৬ সালে সুরফা বেগমের সঙ্গে বিয়ে তার বিয়ে হয়।
তাঁর অধিকাংশ গানে সুফি ও মরমিবাদ যথেষ্টভাবে ফুটে উঠলেও এসবের বাইরে ভিন্ন মেজাজের অসংখ্য গান লিখেছেন। শ্রেণী বিভাজন করলে এসব গানগুলোকে বাউল, বিচ্ছেদ, আঞ্চলিক, গণসংগীত, মালজোড়া, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, গোষ্ঠ, মিলন, রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলী, হামদ-নাত, মারফতি, পির-মুর্শিদ স্মরণ আলা স্মরণ, নবি স্মরণ, ওলি স্মরণ, ভক্তিগীতি, মনঃশিক্ষা, সুফিতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, কামতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব, পারঘাটাতত্ত্ব, দেশের গানসহ বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এছাড়া বিবিধ শিরোনামে তাঁর রচিত আরো বিভিন্ন পদাবলীকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। তিনি ১৯৬৭ সালে প্রবাসী বাঙালিদের আমন্ত্রণে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন।অন্যতম সফর সঙ্গী ছিলেন বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম, সেখানে তার গানের কথা ও সুরে বিমোহিত হয়ে সঙ্গীত প্রেমীরা তাঁকে ‘জ্ঞানের সাগর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
Leave a Reply