স্টাফ রিপোর্টার : গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে যে প্রতিষ্ঠানটি সমাজকে আলোকিত করতে, মানুষকে আঁধার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে যুগ যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছে, সেই গ্রন্থাগার নামক প্রতিষ্ঠানটি আজ সবচেয়ে অবহেলিত ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের প্বার্শবর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের যেখানে গ্রন্থাগার মন্ত্রণালয় আছে, সেখানে আমাদের দেশে বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের জন্য একটা অধিদপ্তর পর্যন্ত নেই। রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে অবহেলা করা হচ্ছে। বেসরকারি গণগ্রন্থাগারে সরকারিভাবে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে এই অবহেলিত অথচ গুরুত্বপূর্ণ খাতটিকে নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। বেসরকারি গণগ্রন্থাগারে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ এখন সময়ের দাবী। আজ সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতির সাধারণ সভায় বক্তাগণ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল আলম খানের সভাপতিত্বে, চারু হক ও রনবীর পাল রবির সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ফারহানা হাসনা তুলি৷ সভার শুরুতে ২০১৭-২০ সনের প্রতিবেদন পেশ করেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, লেখক ও গবেষক আশরাফুল আলম ছিদ্দিক ও ২০২০-২২ সনের প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক ম. আ. কাশেম মাসুদ। বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের উপদেষ্টা ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক ফজলে রাব্বি, ফরিদপুর কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম সামাদ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক হাফিজা খাতুন, উত্তরার নো ভেন্টার পাঠাগারের উদ্যোক্তা এনায়েত কবির, পাঠাগার বার্তা’র সম্পাদক রত্নদীপ দাস রাজু, স্টাফ রিপোর্টার এবাদুল সরদার রাহাত, গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের আহবায়ক আবদুস ছাত্তার খান, আলোর ফেরীর উদ্যোক্তা বাবুল মৃধা, তারেকুজ্জামান খান, রুহুল আমীন প্রমুখ। সাধারণ সভায় দেশের আটটি বিভাগের বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রায় তিনশত প্রতিনিধি যোগদান করেন। সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল আলম খান নবগঠিত ২০২২-২৪ সেশনের কমিটির মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে সভাপতি ও তারিক রহমান সৌরভকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।
Leave a Reply