হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি পুরুষ, প্রখ্যাত সমাজসেবক প্রয়াত শ্যামাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত (বিধুবাবু) স্মরণে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার তাঁর নিজ গ্রাম গুজাখাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার প্রসারে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত (বিধুবাবু)’ ট্রাস্ট তাঁর ভাতিজি ভারতী দাশগুপ্তের অর্থায়নে গঠন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে গত শনিবার আয়োজিত সভায় ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মোদাব্বির হেসেন ময়না মিয়ার সভাপতিত্বে ও গুজাখাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিতুষ তালুকদারের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে শ্যামাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত (বিধুবাবু) স্মরণে এক মিনিট দাড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। পরে বক্তব্য রাখেন- শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. সামন্ত লাল সেন, সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শাহীন দেলোয়ার, ইউনিসেফের অবসরপ্রাপ্ত উর্ধতন কর্মকর্তা ও বিধুবাবুর ভাতিজি ভারতী দাশগুপ্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়, ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন সিদ্দিকী, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ, এডভোকেট নিজামুল হক লস্কর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব রত্নদীপ দাস রাজু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কনর আলী সহ এলাকার মুরুব্বিয়ান, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক বৃন্দ।

বক্তাগণ বলেন, শ্যামাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত (বিধুবাবু) একজন বরেন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫নং সেক্টরের বালাট ও টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে সম্মুখ যুদ্ধে সিংহরূপ সাহসীকতার সাথে যুদ্ধ করেন, কিন্তু এই দেশপ্রেমিক বীরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। একজন জমিদার, জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক হিসেবে এলাকার উন্নয়ন সহ শিক্ষা বিস্তারে কাজ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিল তাঁর যোগাযোগ। তিনি ক্ষমতার রাজনীতি করলে অনেক উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতে পারতেন। এখন সময় এসেছে তাঁর কর্মকে মূল্যায়ণে আনার। সভা থেকে নবীগঞ্জ-বানিয়াচং রোডকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিধুবাবু সড়ক’ নামকরণের দাবি জানানো হয়।