বিজ্ঞপ্তি
আলাউদ্দিন আহমেদ স্মারকগ্রন্থ এখন প্রকাশের পথে। পূর্ব ঘোষিত নামকরণে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে নামকরণ করা হয়েছে ‘দখিনের জানালা। লম্বা সময় নেয়ার কারণ লেখা সংগ্রহের দীর্ঘসূত্রতা। অনেকেই লেখা দিই দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপণ করেছেন। এ ছাড়া নতুন নতুন লেখা পাওয়ার প্রত্যাশায়ও অনেক সময় চলে গেছে। বার বারই মনে হয়েছে একবারইতো প্রকাশ হবে দেখিনা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করে। একটি ছোট্ট লেখা থেকেও হয়তো নতুন অজানা কোনো তথ্য পাওয়া যেতে পারে। পেয়েছিও তাই। প্রাপ্ত লেখার আলোকে প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদের শিক্ষকতা জীবনকে চুয়াত্তর পূর্ব এবং চুয়াত্তর পরবর্তি এই দুই পর্বে ভাগ করা যায়। চুয়াত্তর পূর্ব পর্বে তাঁর শিক্ষকতার চেয়ে হাইলাইটেড হয়েছে যাত্রা, নাটক, থিয়েটার তথা সংস্কৃতি সংশ্লিষ্টতা এবং চুয়াত্তর পরবর্তি সময়ে তা কেবলই ছিল শিক্ষকতা এবং স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকান্ড সংশ্লিষ্টতা। আমার বেশি দুর্বলতা ছিল চুয়াত্তর পূর্ববর্তি পর্ব কারণ সেই সময়টি ছিল তাঁর যাত্রা নাটকে মোহগ্রস্ত থাকার তারুণ্যদীপ্ত সোনালী অধ্যায়। ঘরে আসন্ন প্রসবা সহধর্মিনীকে রেখে যাত্রার প্রম্পটিং নিয়ে ব্যাস্থ থাকার মত মহৎ কান্ডজ্ঞানহীনতা দেখানো একমাত্র একজন মোহগ্রস্ত মানুষের পক্ষেই সম্ভব ছিল। তাছাড়া তাঁর সেইসব কর্মকান্ডের সাথে তৎকালীন নবীগঞ্জ থানা সদরের সংস্কৃতি চর্চ্চার আলোকিত ক্ষেত্রটিও অঙ্গাঙ্গী জড়িত ছিল। আমার প্রত্যাশা ছিল তাঁর জীবনের সেই পর্বের স্মৃতিচারণের সাথে সাথে নবীগঞ্জের মত রিমোট থানা শহরের যাত্রা নাটকের চর্চা এবং সংশ্লিষ্ট কুশীলবদের কথাও যেন উঠে আসে যাতে একটি ছোট্ট গন্ডির ভেতরে থেকেও তাঁদের মহৎ চর্চার কথা যেন এ কালের বা আগামী প্রজন্মের মানুষ জানতে পারে। আমার চাওয়া একেবারে বিফলে যায়নি, একাধিক লেখায় সেই সময় আর সংশ্লিষ্টদের নাম জীবন্ত হয়ে উঠে এসেছে যা আগামীতে নবীগঞ্জের সংস্কৃতি চর্চা নিয়ে কেউ গবেষণা করতে চাইলে তা তাদের অনেক সহায়ক হবে।
যাঁরা এই ব্যস্ততম সময়ে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও লেখা দিয়ে সহায়তা করেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইনা কেননা তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ দিক থেকে তাঁদের দায়িত্বটিই পালন করেছেন। একজন প্রয়াত ব্যক্তির জীবনের নানা দিক নিয়ে প্রশংসা বা নিন্দা করলে সেই ব্যক্তিটির কিছুই আসে যায় না কিন্তু তাঁর চরিত্রের বিশেষ এবং ইতিবাচক কোনো দিক জানলে সেটা আমাদেরই প্রাপ্তি। এই গ্রন্থের লেখকগণ সেই জানানোর দায়িত্বটিই পালন করেছেন মাত্র।
স্মারকগ্রন্থের এই প্রচ্ছদটি এঁকেছেন শিল্পী চারুপিন্টু। চারুপিন্টু ঢাকা থেকে আলাউদ্দিন আহমেদের মৃতদেহের সহগামী হয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন, সুতরাং এই প্রচ্ছদ আঁকাতে তাঁর বিশেষ আবেগ জড়িত। চারুপিন্টুকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
এখানে আরেকটি কথা উল্লেখ করতে চাই, যেহেতু এখন বইমেলা চলছে, প্রেসগুলি ব্যস্ত তাই স্মারক গ্রন্থটি ছাপায় যাবে বইমেলার পর। কাজেই এখনও লেখা গ্রহণের সামান্য সময় রয়েছে। কেউ যদি লিখতে আগ্রহী হোন তবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তা নিচের ই-মেইলে পাঠিয়ে দিন। আর এই বিজ্ঞপ্তিটি আপনারা শেয়ার করলে বাধিত হব কেননা যত বেশি শেয়ার হবে তত বেশি মানুষের কাছে তা পৌঁছাবে। ধন্যবাদ।
আহমেদ শাহাব
সম্পাদক
দখিনের জানালা
ahmedshahab7172@gmail.com
Leave a Reply