স্টাফ রিপোর্টার : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ফকির আলমগীর ছিলেন বাংলাদেশের গণসংগীত জগতের প্রাণপুরুষ। প্রয়াত এ গণসংগীত শিল্পী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকার তার এ অসামান্য অবদানের জন্য ইতোমধ্যে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে। তিনি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হবার যোগ্য বলে আমি মনে করি। সেজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত সংগঠনটির 'ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সত্যেন সেন সম্মাননা পদক-২০২৩ প্রদান' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যদিও আমাদের বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবুও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতিকে অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না, একে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ড. হায়াৎ মামুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ফকির আলমগীর এর পুত্র মাসুক আলমগীর।
উল্লেখ্য, প্রগতিশীল সাহিত্য ও সংস্কৃতি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার 'সত্যেন সেন' এর নামে প্রবর্তিত সম্মাননা পদক এ বছর প্রদান করা হয় বরেণ্য গণসংগীত শিল্পী প্রয়াত ফকির আলমগীরকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : রত্নদীপ দাস (রাজু)
মোবাইল : +৮৮০১৭৩৭-৯১২৪৯৬
ইমেইল : pathagarbarta@gmail.com
info@pathagarbarta.com
Copyright © 2024 পাঠাগার বার্তা. All rights reserved.