গতকাল ১৮ ই জুলাই সাপ্তাহিক ‘আমাদের আলফাডাঙ্গা’ নামক অনলাইন নিউজ পোর্টালে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি মালিক খসরু ও মহাসচিব হাবিবা রহমান খান শিরোনামের একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত সংবাদে বর্ণনা করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ’ এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু পিপিএম এবং মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফজলুর রহমান খান এমপি জনকল্যাণ পাঠাগার নেত্রকোনা এর সভাপতি ও জাতীয় সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী। গতকাল ১৯ জুলাই সোমবার বিকালে সংগঠনটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমানুল্লাহ আমানের স্বাক্ষরে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সারাদেশের ৬০টি জেলার বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ এর জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
মূলত বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের কোন নির্বাচনই হয় নাই, এমন কি সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও নেতৃবৃন্দ এই কমিটি গঠন করা সম্পর্কে জানেনও না। জনাব মালিক খসরু মহোদয় আমাদের সবার কাছে সম্মানীয় একজন ব্যক্তিত্ব এবং মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব হাবিবা রহমান খান শেফালী মহোদয় একজন সাদামনের মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের প্রিয়। এই দুুইজন ব্যক্তিত্বকে অনুরোধ করবো ইমাম হোসেনের অগণতান্ত্রিকভাবে একক সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত, প্রধান সমন্বয়ক ঘোষণা ও তথাকথিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত কমিটি আপনারা প্রত্যাখ্যান করলে সারাদেশের বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের কর্মীদের হৃদয়ে আপনাদের অবস্থান আজীবন সুসংহত থাকবে।
আমরা এই অগণতান্ত্রিক ও নির্বাচন বিহীন অবৈধ কমিটি গঠনের এবং এহেন মিথ্যা সংবাদ বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুক আইডিতে পরিবেশের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই অবৈধ কমিটি অত্র সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অনুমতিক্রমে বিলুপ্ত ঘোষণা করছি এবং অচিরেই ৬০ টি জেলা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। জয় বাংলা।
নাসিম আহমেদ
মহাসচিব
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ
বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ
Leave a Reply