1. admin@pathagarbarta.com : admin :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের দুইদিনব্যাপী সাহিত্য পর্যটন মিশন মহেশখালী কক্সবাজার ৮ ও ৯ নভেম্বর নবীগঞ্জে শারদ সংকলন ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ প্রকাশিত স্বপ্নবিলাস উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্যোগে পাঠ প্রতিক্রিয়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সৌম্যেন অধিকারীর কণ্ঠে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্মরণে প্রথম বাংলা গান মিডল্যান্ডস সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ ইউকে সভায় বার্মিংহামে বিজয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত লেখা আহবান ইউকের বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভা অনুষ্ঠিত “রাষ্ট্র সংস্কারে পাঠাগারের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত “রাষ্ট্র সংস্কারে পাঠাগারের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার লন্ডনে আনন্দ ও উৎসবে দ্বাদশ বাংলাদেশ বইমেলা এবং সাহিত্য সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

একুশে পদক পেলেন বই প্রেমি জিয়াউল হক

পাঠাগার বার্তা
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ২৩০ বার পঠিত

পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : চলতি বছর বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ নাগরিককে একুশে পদক ২০২৪ দিতে যাচ্ছে সরকার। তার মধ্যে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় একুশে পদক পেয়েছেন ‘বেচি দই, কিনি বই’ খ্যাত সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ৩ নম্বর দলদলী ইউনিয়নের চামা মুশরিভুজা গ্রামে বাড়ি জিয়াউল হকের। বাবার নাম মরহুম তৈয়ব আলী মোল্লা এবং মায়ের নাম শরীফুন নেছা।

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নেন তিনি। দরিদ্র্যতার সঙ্গে আজীবন লড়াই করেও নিরবচ্ছিন্নভাবে সমাজসেবা করে যাচ্ছেন জিয়াউল হক। ফেরি করে দই বিক্রি করে সংসার চালান তিনি, সেই আয়ের উদ্বৃত্ত টাকা দিয়েই বই কিনে গরিব ছাত্রদের মধ্যে বিলি করেন জিয়াউল। ১৯৬৯ সালে নিজের বাড়ির একটি ঘরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’। এ পাঠাগারে এখন ১৪ হাজার বই আছে বলে জানান জিয়াউল হক।

গত মঙ্গলবার বিকেলে জিয়াউল হকের মনোনয়নের বিষয়টি প্রকাশ করে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিয়াউল হক পাশের উপজেলা গোমস্তাপুরের সদর রহনপুর স্টেশন বাজারে দই বিক্রি করতে গেছেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর রহনপুর স্টেশন বাজারে গিয়ে একটি ওষুধের দোকানের সামনে তার দেখা পাওয়া যায়। ওদিকে তার বাড়িতে একুশে পদকের খবরে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভীড়।

ঘরে বাজার করার টাকা না থাকায় দই নিয়ে বের হয়েছেন বলে জানান তিনি। একুশে পদক পাওয়ার জন্য মনোনীত হওয়ায় শান্তি পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। জীবনের শেষ দিকে এসেও কাজের স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দিত তিনি।

সৎ মানুষ, ভালো দই ব্যবসায়ী ও ভালো মানের দই প্রস্তুতকারক হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। সমাজসেবক হিসেবে তিনি অভাবগ্রস্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় পাঠ্যবই, পবিত্র কোরআন মাজিদ ও এতিমদের পোশাক দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন।

এছাড়া যেসব ছাত্রছাত্রী দূরদূরান্ত থেকে বই নিতে আসেন, তাদের যাতায়াত খরচও দিয়ে থাকেন জিয়াউল হক। ঈদে গরিব-দুঃখীর মধ্যে কাপড় বিতরণ এবং প্রচণ্ড শীতে দরিদ্রদের মধ্যে শীতবস্ত্রও বিতরণ করেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হক জানান, যে কয়দিন বেঁচে আছেন পাঠাগারের দেখাশোনা করবেন তিনি। তারপর ছেলে এই পাঠাগারের দেখভাল করবে বলেও জানান তিনি।

তার ছেলে মহব্বত আলী বলেন, সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে ২০২৪ সালে একুশে পদকে আমার বাবাকে মনোনীত করার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমার বাবা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননায় মনোনীত হয়েছেন এতে আমি অত্যন্ত খুশি। আমি আমার বাবার অবর্তমানে এই পাঠাগারের হাল ধরব এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

error: Content is protected !!