আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গতকাল ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী। পরাক্রম দিবস উপলক্ষ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১ দ্বীপকে পরমবীর চক্র সম্মানে ভূষিতদের নামে নামাঙ্কিত করার ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে লেখেন, ‘এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে সুভাষজিকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা সাহসী তারা তাদের স্মৃতির জন্য কারো উপর নির্ভরশীল নন।’ নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত এই দ্বীপের স্বাধীনতা সম্পর্কিত এক অধ্যায়ের ইতিহাস একনজরে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে আখ্য়া দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ২৩ জানুয়ারি সেই পরাক্রম দিপস উপলক্ষ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১ দ্বীপকে পরমবীর চক্র সম্মানে ভূষিতদের নামে নামাঙ্কিত করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপে ন্যাশনাল মোমোরিয়ালকে এদিন নেতাজির নামে উৎসর্গ করে উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীর ভাষণে পোর্টব্লেয়ারের অনুষ্ঠান থেকে সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে বক্তব্য রাখা ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে লেখেন, ‘এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে সুভাষজিকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা সাহসী তারা তাদের স্মৃতির জন্য কারো উপর নির্ভরশীল নন।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি পরামক্রম দিবস ও কর্তব্য মার্গে নেতাজির মূর্তি স্থাপনের প্রসঙ্গ আনেন। অমিত শাহ বলেন, নেতাজিই প্রথম আন্দামানকে স্বাধীন করেন। উল্লেখ্য, আন্দামানের সঙ্গে নেতজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক সেইটি।
ইতিহাস বলছে, ৩০ ডিসেম্বর ১৯৪৩ সালে পোর্টব্লেয়ারের জিমখানা গ্রাউন্ডে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতাজি। এই দুই দ্বীপ তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় জাপান। পরে ব্রিটিশদের দখল মুক্ত ওই দ্বীপকে, স্বাধীন ঘোষণা করেন নেতাজি। এর আগে, ২৯ ডিসেম্বরেই আন্দামান পা রেখেছিলেন নেতাজি। কী ঘটেছিল সেদিন?
২৯ ডিসেম্বর নেতাজির চিকিৎসক ডিএস রাজু ছিলেন তাঁর সঙ্গে। সেই দিন তিনি পোর্টব্লেয়ারে পা রাখেন। নেতাজিকে স্বাগত জানান শর্বরী আনন্দ, মোহন সাহায়,ক্যাপ্টেন রাওয়াতরা। সঙ্গে ছিলেন বহু বর্মার নাগরিক ও ভারতীয়রাও। পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি আন্দামানের নাম নেতাজি রেখেছিলেন শহীদ, আর নিকোবরের নাম স্বরাজ।
উল্লেখ্য, রস দ্বীপটির নাম রাখা হয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র দ্বীপ হিসাব। এই ঘোষণা কেন্দ্রের তরফে আগেই হয়েছে। এছাড়াও নীল দ্বীপের নাম শহিদ ও হ্যাভলক দ্বীপের নাম রাখা হয়েছে স্বরাজ।
উল্লেখ্য, ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার বহু আগেই আন্দামানের রস দ্বীপে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। এই দ্বীপের স্বাধীনতার সঙ্গে পরতে পরতে জড়িত দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম।
সম্পাদক ও প্রকাশক : রত্নদীপ দাস (রাজু)
মোবাইল : +৮৮০১৭৩৭-৯১২৪৯৬
ইমেইল : pathagarbarta@gmail.com
info@pathagarbarta.com
Copyright © 2024 পাঠাগার বার্তা. All rights reserved.