নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি বছর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দেশের বেসরকারি গণগ্রন্থাগারে অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। মোট বরাদ্দের পঞ্চাশ শতাংশ (৫০%) নগদ অর্থ বাকী পঞ্চাশ শতাংশ (৫০%) টাকার বই দেওয়া হয় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের অনুদানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং অনেক গণগ্রন্থাগারের একাউন্টে অনলাইনে টাকা পৌঁছে গেছে। ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ এই তিন ক্যাটাগরিতে পাঠাগার গুলোতে অনুদান প্রদান করা হয়। বিগত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ‘ক’ ক্যাটাগরিতে সত্তর হাজার (৭০,০০০/-) টাকা, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে পঞ্চান্ন হাজার (৫৫,০০০/-) টাকা ও ‘গ’ ক্যাটাগরিতে সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত (৪৭,৫০০/-) টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ‘ক’ ক্যাটাগরিতে ছেষট্টি হাজার (৬৬,০০০/-) টাকা, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে তিপ্পান্ন হাজার (৫৩,০০০/-) টাকা, ও ‘গ’ ক্যাটাগরিতে পয়তাল্লিশ হাজার (৪৫,০০০/-) টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কম। অধিকাংশ খাতেই যেখানে সরকারি বরাদ্দ প্রতি বছর বাড়ানো হয়, সেখানে জ্ঞানের মশাল জ্বালানো আলোর বাতিঘর খ্যাত গ্রামীণ পাঠাগারের অনুদান কমানো দেশের পাঠাগার সংগঠকদের হতাশ করেছে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন পাঠাগার সংগঠক আগামী অর্থ বছরে বরাদ্দ বাড়ানো ও নূন্যতম একজন গ্রন্থাগার কর্মীর সম্মানী প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply