পাঠাগার বার্তা ডেস্ক : ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচারাল রিলেশন (আইসিসিআর) এর মহাপরিচালক (ভারত সরকারের সচিব) কুমার তুহিন (Kumar Tuhin) আজ সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সঙ্গে তাঁর সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, প্রত্নতত্ত্ব খাতে সহযোগিতা, ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে সাংস্কৃতিক দল প্রেরণসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আইসিসিআর এর মহাপরিচালককে স্বাগত জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশ। এখন সময় এসেছে পারস্পরিক বন্ধনকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করণ এবং আরও উঁচু মাত্রায় নিয়ে যাওয়া। প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইসিসিআর এর মহাপরিচালক বলেন, ভারতও অনুরূপভাবে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক ও বন্ধনকে শক্তিশালী করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সাংস্কৃতিক কূটনীতি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়।
কুমার তুহিন বলেন, আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল প্রেরণ করতে পারে। এ বিষয়ে আইসিসিআর মহাপরিচালককে আশ্বস্ত করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ সম্মেলনে সাংস্কৃতিক দল প্রেরণ করবে। কে এম খালিদ বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দু’দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা যেতে পারে যাতে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও বেগবান হয়।
আইসিসিআর মহাপরিচালক বলেন, আইসিসিআর চারু ও কারুকলা, ভাষা, সংগীতসহ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। তিনি বলেন, আইসিসিআর বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে যারা ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। কুমার তুহিন এসময় বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কার-সংরক্ষণসহ প্রত্নতাত্ত্বিক খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের উপহাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ (Dr. Binoy George), সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুব্রত ভৌমিক, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ঢাকার পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply